.
.
.
.
.
.
নিশি রাতে ছলাৎ-ছলাৎ কুলুভুলু যমুনার ঢেউ! ধুকধুক ধুকপুক বুকে কেঁপে ওঠে জলের জাহাজ। শুধুই হইচই কলরোল~কানে ভাসে তোমার কুমারী শীৎকার; যা প্রথম হারিয়েছো ব্রহ্মপুত্রের কাশবনের আড়ালে। মনিকার জেলেপাড়া আর মাঝিপাড়াও একদিন জেনে যাবে~মনিকার লিউনস্কি কিভাবে গোপনে ঢুকে পড়েছিলো হোয়াইট হাউসের অন্দরমহলে। তারা তখন ডেকে-ডেকে খুঁজতে থাকবে তোমার ভার্জিনফুল…
.
তুমি হতে চেয়েছিলে কুমারী স্ত্রী। সেই থেকে ঘাটে-ঘাটে ভিড়িয়েছো লাল তরী। একে-একে খুলতে লাগলে জলের কপাট; আর ক্রমশ ভাঙতে লাগলো কাচের পুতুল। চোখ থেকে ঝরে পড়ছিলো সুখের পরাগ। নাকফুল চিকচিক করে; চশমার ফ্রেমে বসে আছে আততায়ী খুনি। লিলেন জামার পাড় বেয়ে নামে কোমল শিহরন; কাঁপতে থাকে নিউরনের গোপন অলিন্দ। ব্রা-পেন্টির অলিগলিতে জমতে থাকে রেখে আসা প্রেমিকদের খণ্ড-খণ্ড চুমু আর কামের গাঢ় চিত্রকল্প।
.
কেউই তোমাকে উষ্ণতা দিতে পারেনি। কেউই তোমাকে লুকিয়ে রাখতে পারেনি কলিজার তোরঙ্গে। তুমিও কাউকেই ধরে রাখতে পারোনি তোমার সোনা-রূপোর কাসরের শব্দে; তুমিই শব্দহীন শব্দহারাম শহরের দীর্ঘস্থায়ী ক্রন্দন। তুমি যদি সুবোধ-স্বপ্নের প্রেমিকা হতে~ট্রয় নগরী আবার হতে পারতো হেলেনের অভয় নিবাস; আর টুইনটাওয়ারে পাউডারগান ছিটিয়ে তৈরি হতো না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নকশা।
.
যদি প্রেম ধারণ করতে শিখতে পারতে, তাহলে অসুখ ভালো হওয়ার জন্য মেডিকেলপাড়া দরকার হয় না। পীর সাহেবের পানিপড়া আর তাবিজ-কবচের তরজমা লাগে না। ভালোবাসার জন্য লাগে ওম, বিশ্বাস, সাহস, আর লাগে চাঁদের মহিমা, মাটি ফুঁড়ে জেগে ওঠা সোনার মুখ। গণিত লাগে না, গ্রামার জানতে হয় না, জনমের সাধ মেটার জন্য চাই একবার এক গহীন ডুব; তুমি যদি হও গন্দমফুলের বাগান।
.
নাও বাইতে-বাইতে আমরা পৌঁছে যাবো না-ফুরানোর দেশে। আর তখন গহীনে বাজতে থাকবে~অনন্ত এক অনাবিল সুরেলা গান জলের করাত…
.
১২.১২.২০১৯
সন্ধ্যা :: ৭:৪০—৮:৪৯
বিজয় সরণী থেকে চাঁন কমিউনিটি সেন্টার
হোসেনী দালান, সোনারগাঁও রোড, ঢাকা।